মুরাদ হাসান: সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারে বন্যার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। সুরমা, কুশিয়ারা, মনু, সোমেশ্বরী ও খোয়াই নদীর পানি সমতলে বাড়ছে। দুই নদীর পানিই বিপদসীমার কাছাকাছি দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। টানা বৃষ্টিতে সিলেট নগরী ও শহরতলীতেও ব্যাপক জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। পানিবন্দি হয়েছে বেশ কিছু সড়ক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ড্রেনেজ ব্যবস্থার অব্যবস্থাপনার কারণে জলাবদ্ধতার ভোগান্তি বেড়েছে কয়েকগুণ।

সিলেট প্রতিনিধি আশরাফ রাজু জানান, সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন বলেছেন, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় সিলেটে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে নামতে পারে পাহাড়ি ঢল। 

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি শাহনাজ পারভীন জানান, ভারী বৃষ্টিপাত ও উজানের পাহাড়ী ঢলে কুড়িগ্রামে ব্রম্মপুত্র নদ,ধরলা নদী, দুধকুমর ও তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, পানির স্তর যে কোন সময় বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। 

লালমনিরহাট প্রতিনিধি রিয়াজুল ইসলাম জানিয়েছেন, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও কয়েকদিন থেকে টানা বৃষ্টিতে বাড়তে শুরু করেছে তিস্তা নদীর পানি। ফলে ভাটি এলাকায় বাড়ছে পানির চাপ। প্লাবিত হচ্ছে নিম্নাঞ্চল। আতঙ্কে তিস্তা পাড়ের লাখো মানুষ।

নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন তিস্তাপাড়ের লাখো মানুষ। চর এলাকায় চাষাবাদের জন্য বসবাসরত লোকজন গ্রাম এলাকায় চলে আসছেন। নৌকায় করে চরের ফসল নিয়ে আসছেন উঁচু এলাকায়।

আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গোলাম সারোয়ার বলেন, ইউপি চেয়ারম্যানদেরকে সবশেষ খবর রাখতে বলেছি। জরুরি যেকোন পরিস্থিতি মোকাবিলায় সজাগ রয়েছি।

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার বলেন, গ্রীষ্ম মৌসুমে তিস্তার বিভিন্ন এলাকায় প্রকল্পের কাজ করা হয়েছে। তারপরও জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত রয়েছি। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব